ওহুদ যুদ্ধের গুরুত্ব
১. বদর যুদ্ধে কাফেরদের গ্লানিকর পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার এবং উঠতি মুসলিম শক্তিকে অংকুরে বিনাশ করার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
২. মাত্র ৭০০ মুসলিম সেনার কাছে সুসজ্জিত ৩০০০ সৈন্যের বিশাল বাহিনীর ন্যাক্কারজনক পিছু হটায় কুরায়েশ বাহিনী আদপেই হিম্মত হারিয়ে ফেলে। ফলে দু’বছর পর সম্মিলিত আরব বাহিনীর সাথে খন্দকের যুদ্ধে আগমনের আগে এককভাবে কুরায়েশ বাহিনী আর কখনো মদীনায় হামলা করেনি।
৩. ইহূদী ও মুনাফিকদের সার্বিক অপতৎপরতা ও যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে ৩০০ মুনাফিক বাহিনীর পৃষ্ঠপ্রদর্শনেও মুসলিম বাহিনী ফিরে না যাওয়ায় কাফের বাহিনী সবদিক দিয়ে নিরাশ হয়ে পড়ে।
৪. তীরন্দাযদের ভুল থেকে মুসলিম বাহিনী শিক্ষা গ্রহণ করে এবং ভবিষ্যতে এরূপ কোন ভুল তারা আর করেনি।
৫. মুসলিম বাহিনীর শক্তি বিষয়ে বিরোধীদের মধ্যে সমীহ বোধ সৃষ্টি হয়। যা ভবিষ্যৎ বিজয়সমূহের সোপান হিসাবে বিবেচিত হয়।
ফলাফল :
━━━━━━
১. এই যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী শেষ দিকে বিপর্যয়ে পড়লেও কাফের পক্ষ বিজয়ী হয়নি।
২. মুনাফিকরা চিহ্নিত হওয়ায় মুসলিম বাহিনী স্বস্তি লাভ করে এবং আরও শক্তিশালী হয়।
৩. শেষের দিকে বিজয় লাভ করা সত্ত্বেও মদীনার উপর চড়াও না হওয়ায় এবং মুসলিম পক্ষকে নিশ্চিহ্ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় কাফের বাহিনীতে হতাশা ও ফাটল সৃষ্টি হয়।
৪. পরদিন মুসলিম বাহিনীর পশ্চাদ্ধাবনে কাফের বাহিনী ফিরে দাঁড়ানোর বদলে দ্রুত মক্কায় পালিয়ে যায়।
৫. মুসলিম বাহিনীর ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কাফের বাহিনী হিম্মত হারিয়ে ফেলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন